বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স : গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে চুরি যাওয়া কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাতে ঢাকার মহাখালী এলাকার ‘জিসান ইন্টারন্যাশনাল’ হোটেলের একটি কক্ষ থেকে এসব কম্পিউটার উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার চোরখাই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন কবীর (৩৫) ও কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ইদারচর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল (২৫)।
গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার মহাখালীর ‘জিসান ইন্টারন্যাশনাল’ হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে বনানী থানা ও গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এ সময় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। এ সময় হুমায়ুন ও দুলাল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে হোটেল ব্যবসায়ী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের পলাশ শরীফসহ একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ঘটনার পর থেকে পলাশ শরীফ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত কম্পিউটারসহ আটকদের গোপালগঞ্জে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করা হবে।
ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। প্রথমে ৯১টি কম্পিউটার চুরি যাওয়ার কথা বললেও পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানান চুরি গেছে ৪৯টি।
এ ঘটনায় গত ১০ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। একইসঙ্গে ১৯ জন নিরাপত্তা প্রহরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। এর আগে চার দফায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেড় শতাধিক কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেছেন, তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই কিছু বলছে পারছি না।